পালসার ডাবল ডিস্ক দাম কত ২০২৫ | Pulsar Double Disc Price In Bangladesh 2025
পালসার বর্তমান সময়ে আমাদের সকলেরই জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড। তবে পালসার এর অন্যান্য সকল বাইকের থেকে পালসার ডাবল ডিস্ক বাইক আমাদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করে দেয়। এ বাইকের ডিজাইন এবং দাম অত্যন্ত কম হওয়ার কারণে যুবসমাজের মধ্যে অধিকাংশই বাইকটি ক্রয় করতে আগ্রহী। দাম কত আজকের এই আর্টিকেলে জানতে পারবেন পালসার ডাবল ডিস্ক দাম কত ২০২৫ এর সম্পর্কে বিস্তারিত।
পালসার ডাবল ডিস্ক দাম কত ২০২৫
পালসার ডাবল ডিস্ক দাম ১৭৫,০০০ টাকা থেকে ২১৭,০০০ টাকা পর্যন্ত ২০২৫ সালে। মডেল ভেদে পালসার ডাবল ডিস্ক এর দাম শুরু হয়েছে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা থেকে এবং সর্বোচ্চ দাম রয়েছে ২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা এই বছরে।
আপনার পছন্দ অনুযায়ী যে মডেলটি বাজেটের সাথে মিলে যায় এবং পছন্দের সাথে মিলে যাই সেই মডেলটি আপনি চাইলে ক্রয় করতে পারবেন। বাজাজ বাংলাদেশ বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার অধিকাংশ উপজেলাতেই তাদের শোরুম প্রতিষ্ঠা করেছে। তাই খুব সহজেই আপনার হাতের নাগালে থাকা যে কোন অনলাইন প্লাটফর্মে কিংবা আপনার এলাকাতে থাকা বিভিন্ন শোরুমে গিয়ে আপনি বাজাজের পালসার বাইক ক্রয় করতে পারেন।
পালসার ডাবল ডিস্ক এর দাম কত
পালসার ডাবল ডিস্ক এর দাম ২১৭,০০০ টাকা ও ২২৫,০০০ টাকা। দুইটি মডেল এর একটি শুধু পালসার ডাবল ডিস্ক যার বাজার মূল্য ২১৭,০০০ টাকা। দ্বিতীয়টি পালসার ডাবল ডিস্ক এবিএস যার বাজার মূল্য এখন ২২৫,০০০ টাকা।
এই দুই মডেলের মধ্যে পার্থক্য হলো যে একটি এবিএস আছে অন্যটিতে এবিএস নেই। যারা সিকিউরেটি বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা আপনারা চাইলে এবিএস ভার্শন কিনে নিতে পারেন। পালসার ডাবল ডিস্ক উইথ এবিএস এর দাম হলো দুই লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা।
আরো পড়ুন: হিরো সাইকেল দাম কত বাংলাদেশ
পালসার ডাবল ডিস্ক এবিএস এর দাম কত ২০২৫
পালসার ডাবল ডিস্ক এবিএস এর দাম ২২৫,০০০ টাকা মাত্র। যারা মূলত সুরক্ষিত রাইট করতে চান তাদের জন্য বাজাজ পালসার ডাবল ডিস্ক এবিএস সিস্টেমটি অত্যন্ত সেরা। তাছাড়াও দামের দিক দিয়ে বিবেচনা করলে অত্যন্ত দাম কম রয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের যে সকল এবিএস বাইক গুলো রয়েছে সেগুলোর তুলনায়।
সবকিছু বিবেচনায় আপনি যদি সুরক্ষিত একটি বাইক ক্রয় করতে চান যার ব্রেকিং সিস্টেম হবে সর্বোচ্চ সেরা তাহলে আপনি ক্রয় করতে পারেন বাজাজ ডাবল ডিস্ক এবিএস বাইকটি। বর্তমান সময়ে বাজারে এই বাইকটির মূল্য ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। তবে, এই দামটি বিভিন্ন অফার ভেদে বাড়তে বা কমতে পারে।
যেহেতু সামনে কুরবানি ঈদ রয়েছে তাই খুব ভালো মানের ডিসকাউন্ট চলছে বর্তমানে। তাই যারা এই বাইক ক্রয় করতে চাচ্ছেন তারা এই সুযোগে লুকিয়ে নিতে পারেন অফারটি। ৩০% ছাড়ে বাজাজ কোম্পানির বাইক গুলো বিক্রয় করা হচ্ছে যার মধ্যে এই বাইকটিও রয়েছে। তাই যদি এখন আপনার বাজেট থাকে তাহলে ক্রয় করে নিতে পারেন বাইকটি।
আরো পড়ুন: ১০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো সাইকেল
পালসার ডাবল ডিস্ক প্রাইস ইন বাংলাদেশ
মডেল | পাওয়ার (ইঞ্জিন) | দাম |
---|---|---|
Bajaj Pulsar 150 Twin Disc | ১৫০ সিসি | ২১৭,০০০ টাকা |
Bajaj Pulsar 150 Twin Disc ABS | ১৫০ সিসি | ২২৫,০০০ টাকা |
পালসার ডাবল ডিস্ক এর ডিজাইন
আপনারা সকলেই জানেন পালসার কোম্পানির প্রত্যেকটা বাইকের ডিজাইন হয়ে থাকে তুলনাকে। সেই প্রথম সময় থেকেই পালসার ডাবল ডিস্ক বাইকের ডিজাইন অত্যন্ত আকর্ষণীয় ছিল। কোনরকম আপডেট ছাড়াই এই ডিজাইনটি দেখতে যেমন লাগে তা বলা বাহুল্য।
আমার মতে এই বাইকের ডিজাইনটি অত্যন্ত সেরা। তবে আপনার কাছে কেমন লাগে তা আমাদের এই পোস্টের কমেন্টে জানাতে পারেন। মূলত বাজাজ ডবল ডিস্ক বাইকের আপনারা বেশ কয়েকটি কালার পেয়ে যাবেন যার মধ্যে রয়েছেন লাল কালো, শুধু কালো, শুধু সাদা। বাংলাদেশের রাস্তায় সচরাচর লাল এবং কালো কালারের বাইকটি দেখা যায়।
পালসার ডাবল ডিস্ক এর ইঞ্জিন
পালসার ডাবল ডিস্ক এর ইঞ্জিন সেকশন সবাইকে সন্তুষ্ট করার মতোন ক্ষমতা রাখে। এই বাইকের ইঞ্জিন সেকশনে আপনারা যে সকল ফিচার পাচ্ছেন তার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাস্তায় খুব সহজে গাড়ি চালাতে পারবেন। বাংলাদেশের রাস্তায় গাড়ি চালানোর জন্য সর্বোচ্চ গতিশীমা হচ্ছে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। তবে আপনারা পালসার ডাবল ডিস্ক বাইকে পেয়ে যাবেন ১১০ কিলোমিটারের সর্বোচ্চ গতিসীমা।
আরো পড়ুন: বাইকের মিটারের দাম কত
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বাজারে অনেক বাইক থাকলেও বাজাজ কোম্পানির তৈরি করা পালসার বাইক অত্যন্ত পপুলার হয়ে উঠেছে। সাধারণত পালসার বাইক কন্ট্রোলিং এবং অন্যান্য সকল দিক দিয়ে সবচেয়ে সেরা হিসেবে পরিচিত। পালসার এর যতগুলো সিরিজের বাইক রয়েছে প্রায় সবগুলোরই বর্তমানে এবিএস সিস্টেমের আপডেট বাইক পাওয়া যায় ২০২৫ সালে।
তাছাড়া এবিএস সিস্টেম থাকলেও অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে বাজারে বিক্রয় করা হচ্ছে পালসার সিরিজের বাইকগুলো। ঠিক এই কারণেই যুব সমাজের মধ্যে অধিকাংশ যুবকই ক্রয় করতে চাই পালসার কোম্পানির এই বাইক গুলো। বাজাজ কোম্পানির যতগুলো বাইক বাংলাদেশে পাওয়া যায় সবগুলোই ইন্ডিয়াতে তৈরি করা হয়। মূলত বাজাজ কোম্পানি তাদের pulsar বাইকগুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে ডিজাইন এবং মডিফাই করা থাকে। যার ফলে দেশে বর্তমানে অনেক মানুষজন বাজাজ পালসার ডাবল ডিস্ক বাইক ব্যবহার করছে।
ইঞ্জিন ফিচার | ডিটেইল |
---|---|
ইঞ্জিন টাইপ | 4 - stroke, SOHC - 2V - Air Cooled, single cylinder, , Twin Spark BSIV Compliant DTS-i engine |
মাইলেজ | ৬০ কিমি/লিটার |
সর্বোচ্চ টরকিউ | 13.4Nm @ 6000rpm |
সর্বোচ্চ পাওয়ার | 14Ps @ 8000rpm |
সর্বোচ্চ গতি | ১১০ কিমি/ঘন্টা |
Displacement (cc) | ১৪৯.৫ |
পালসার ডাবল ডিস্ক এর স্পেসিফিকেশন
এই বাইকটিতে রয়েছে ১৫০ সিসির একটি ইঞ্জিন, যার সর্বোচ্চ গতিসীমা ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। তাছাড়া বাইকটি মাইলেজ দিবে ৬০ কিলোমিটার প্রতি লিটার তেলে। পালসার ডাবল ডিস্ক বাইকের সুবিধা এবং অসুবিধার কথা বিবেচনা করে এর স্পেসিফিকেশন অত্যন্ত আপডেট করা হয়েছে। দ্রুতগতির একটি বাইক যা মূলত ১৫০ সিসি ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত। তাই বাইকটি প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতা রাখে।
আরো পড়ুন: অপ্পো মোবাইল দাম বাংলাদেশ
আমাদের শেষ কথা
যারা মূলত বাজাজের পালসার বাইক পছন্দ করে তাদের জন্য আশা করি আর্টিকেলটি ছিল সর্বসেরা। যাই হোক আশা করি আপনারা আর্টিকেলটির মাধ্যমে পালসার ডাবল ডিস্ক দাম কত সে সম্পর্কে জেনে গেছেন। এখন আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এটি শেয়ার করুন যাতে তারাও জানতে পারে। তাছাড়া আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন নিত্য নতুন বিভিন্ন পণ্যের দাম জানতে।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url